টক্সিক কলিগ? যেভাবে সামলে নেবেন

আপনার অফিসে যদি কেউ টক্সিক কলিগ থেকে থাকে, যারা কথাবার্তা বা আচরণের মাধ্যমে বিষ ছড়ায়, তবে তাদের সামলানো ভীষণ चुनौती হতে পারে। তবে সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে আপনি মানসিক চাপ কমিয়ে এমন টক্সিক পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। নিচে কিছু প্র্যাকটিক্যাল উপায় দেয়া হলো:

১. লিমিটেশন রাখুন

টক্সিক কলিগের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য দৃঢ় কিন্তু সৌম্যভাবে ‘না’ বলুন। তাদেরকে আপনার ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করতে দেবেন না। কথোপকথনে প্রফেশনাল থাকুন এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার এড়িয়ে চলুন যাতে তারা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না পারে।

২. তাদের ড্রামায় জড়াবেন না

যত বেশি আপনি মানসিক প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তারা তত বেশি আপনার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে। তাই শান্ত থাকুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে চিৎকার-চেঁচামেচি না করে পেশাদার আচরণ করুন। এটি আপনার মানসিক পরিপক্কতার প্রমাণ দেবে এবং তাদের প্রত্যাশিত নিয়ন্ত্রণ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

৩. সবকিছু নথিভুক্ত করুন

যদি টক্সিক আচরণ আপনার কাজ বা সুনামের ওপর প্রভাব ফেলে, তাহলে সমস্ত ঘটনা, ইমেইল এবং কথোপকথন লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করুন। পরবর্তীতে প্রমাণ সহ এই তথ্য HR বা ব্যবস্থাপনাকে জানাতে সুবিধা হবে।

৪. সহায়তা নিন

বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু, সহকর্মী, বা পরামর্শদাতার সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করুন। মানসিক সমর্থন পেলে টক্সিক আচরণের প্রভাবে কম পড়বে। একাকীত্ব এড়িয়ে চলুন এবং এমন লোকজনের সঙ্গে থাকুন যারা আপনার পাশে থাকবে।

৫. প্রয়োজনে HR বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন

যদি টক্সিক আচরণ পেশাদার বা নীতিগত সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ঘটনা বিস্তারিত লিখে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বা এইচআর ডিপার্টমেন্টকে জানান। প্রাথমিক পদক্ষেপ মন্দ পরিস্থিতি শোধরাতে সহায়ক।

অফিসে টক্সিক কলিগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় এসব কৌশল আপনাকে মানসিক শান্তি দিতে সাহায্য করবে এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি সাধনে সহায়ক হবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *