ক্যারিয়ার নিয়ে সবারই কমবেশি চিন্তা থাকে—স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী সবাই সফল ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিকল্পনা বা ক্যারিয়ার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় বেশিরভাগই পিছিয়ে পড়েন। প্রতিযোগিতামূলক এই যুগে সফলতার জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অপরিহার্য, যা আপনার পেশাজীবনের রোডম্যাপ তৈরি করে।
ক্যারিয়ার মানে মূলত পেশাজীবন। বিস্তৃত অর্থে, জীবিকা অর্জনের জন্য অর্জিত শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সামর্থ্যের সমন্বয়কে ক্যারিয়ার বলা যায়। যেমন ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী বা চিত্রশিল্পীর কাজ তাদের ক্যারিয়ার নির্দেশ করে। আরেকভাবে, কর্মজীবনে পেশা-সংক্রান্ত ক্রমোন্নতি, চাকরি-পদবী-অভিজ্ঞতার সম্মিলিত রূপও ক্যারিয়ার। মূলত পেশা ও অগ্রগতির সামগ্রিক ধাপই এটি।
চাকরি ও ক্যারিয়ার দুটোর লক্ষ্য অর্থ উপার্জন হলেও এক নয়। চাকরি শুধু অর্থের জন্য করা কাজ, যা একটি ভূমিকা মাত্র। ক্যারিয়ার দীর্ঘমেয়াদী প্রয়াস—ভূমিকা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের পথের সমন্বয়। এক ক্যারিয়ারে অসংখ্য চাকরি থাকতে পারে। প্ল্যানিংয়ের আগে জানুন আপনি শুধু চাকরি চান নাকি সামগ্রিক সফল ক্যারিয়ার।
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং আপনার প্রফেশনাল জীবনের মানচিত্র, যা কর্মক্ষেত্র থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে। এটি জীবন-কাজের পরিবর্তন পরিচালনা করে, নিজস্ব পরিচয় তৈরি থেকে সফলতায় নিয়ে যায়। সঠিক প্ল্যান ছাড়া সোনার হরিণ ধরা কঠিন, বিশেষ করে TVET বা RMG-এর মতো সেক্টরে।
ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের প্রথম ধাপ নিজেকে জানা। আপনার প্রয়োজন, চাহিদা, দক্ষতা, আগ্রহ, প্রতিভা জানুন। নিজেকে মূল্যায়ন করুন: বেতন আশা, যোগ্যতা, কর্মপরিবেশ (একাকী/দলগত), সমাজে প্রভাব। অনেক দক্ষতা থাকলেও ভুল মূল্যায়নের কারণে অসন্তোষ হয়। আগ্রহ মূল্যায়ন করুন: কাজের দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ। অনুসন্ধানী, বাস্তবসম্মত, সামাজিক, শৈল্পিক বা উদ্যোগী ক্যারিয়ার—আগ্রহ অনুসারে বেছে নিন। প্রেষণা না থাকলে কাজে বিরক্তি আসে। এই ধাপগুলো মেনে চললে সফল ক্যারিয়ার নিশ্চিত।